🔴 'বাপ কে বলো' চালাতে গিয়ে আমরা যে শুধু অন্যদেরই উপকার করছি, এমনটা কিন্তু না। অন্যদের সাহায্য করার সাথে সাথে প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি, যা অন্যদের সাথে সাথে আমাদের মেম্বার দেরও দৈনন্দিন জীবনে অনেক সাহায্য করে। 

আজকের ঘটনাটি আমাদের একজন মেম্বারের নিজস্ব ঘটনা। বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

⭕️ গত 19-শে মার্চ সে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। যথারীতি সমস্ত ডকুমেন্টস verification হওয়ার পরে পুলিশ verification এর জন্য পাঠানো হয় এবং স্থানীয় DIB office এ তাকে ডেকে পাঠায়। 

সমস্যাটা শুরু হয় সেখান থেকেই। যদিও খুব চেনা একটা সমস্যা। যারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছে, তাদের কম বেশি প্রত্যেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

DIB office এ এক সিভিক ভলেন্টিয়ার তার থেকে 3500 টাকা দাবী করে। সে একজন কলেজ ছাত্র, তাই স্বাভাবিক ভাবেই তার ক্ষেত্রে লকডাউনে এই টাকাটা দেওয়া সম্ভব ছিলো না। অন্যভাবে বললে, সে ঘুষ দিয়ে কাজটা করাতে চায়নি। 

⭕️ তাই সেখান থেকে ফিরে সে, 'বাপ কে বলো'র চেনা স্টাইলে জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকে ফোন করলে উনি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন এবং থানা থেকে দুজন SI কে পাঠিয়ে দেন। থানা থেকে আসা SI-রা ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বিরুদ্ধে লিখিত ও ভিডিও মারফত একটা অভিযোগ নিয়ে নেন এবং বলেন তার পুলিশ verification হয়ে যাবে। 

⭕️ তবে তা হয়নি। ভোটের পর সে পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস চেক করলে দেখতে পায়, পুলিশ verification রিপোর্ট ক্লিয়ার নেই।

⭕️ বাধ্য হয়ে সে আবার ঐ একই আধিকারিক কে ফোন করে এবং জানতে পারে যে তার Birth Certificate এ বাবার নামের বানান ভুল থাকার কারণে পুলিশ verification clear করেনি। পুলিশ এর ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক তাকে বলেন Re Verification এর জন্য আবেদন করতে এবং পরের বার বিষয়টি উনি নিজেই দেখবেন। 
সেই মতো সে Re-Verification এর জন্য অ্যাপ্লাই করে এবং ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক তার সব ডকুমেন্টস নিয়ে  verification টা ক্লিয়ার করে দেন। 2 দিনের মধ্যে মেসেজ পেয়ে যায় যে তার Passport টি dispatch হয়েছে। পরে সে জানতে পারে, সেই ঘুষ চাওয়া সিভিক ও DIB অফিসারকে শো-কজ করা হয়েছে। এবং কিছুদিন পর ওই DIB অফিসার কে অন্য জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

🔰  'বাপ কে বলো'র মূল মন্ত্র, -  "বাপ" অর্থাৎ উচ্চপদস্থ আধিকারিক দের বললে কাজ হবেই। শুধু ধৈর্য এবং বলার প্রপার টেকনিক জানতে হবে। আমরা আপনাকে সেই পথটিই দেখিয়ে দেব।
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।🙏🏻