🔴রনজিৎ পাল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা থানার মহুলা গ্রামের বাসিন্দা ও ভাবতা নেতাজি হাইস্কুলের একজন ছাত্র। রাজ্যসরকারের সবুজসাথী প্রকল্পে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী দের প্রত্যেকে একটি করে সাইকেল পায়। সেই অনুযায়ী ২০১৯ সালে তাদের সাইকেল পাওয়ার কথা, কিন্তু কোন কারনবশত তারা সাইকেল পায়নি। এই ব্যাপারে তারা প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উদ্ধৃতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান। এই ভাবে ২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তারা সাইকেল পায়নি। 

🔴 তারপর সে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাপ কে বলো পেজের কথা জানতে পেরে বিষয়টি আমাদের ইনবক্সে জানায়। আমরা তারপর তার সাথে যোগাযোগ করে সমস্ত কিছু বিস্তারিত তথ্য নিয়ে বিষয়টি ব্লকের একজন দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানাই কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোনো কিছু সাহায্য করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন সরাসরি। তারপর আবার আমরা আর একজন দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিন্তু তার কাছে থেকেও কোনো সদর্থক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। 

🔴 তারপর আমরা বিষয়টি মুর্শিদাবাদ জেলার একজন দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানাই কিন্তু সেখানেও কোনো রকম সদর্থক উত্তর পাচ্ছিলাম না। এই ভাবে মাসের পর মাস অতিক্রান্ত হতে থাকে।তখন আমরা জেলারই অন্য একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বিষয়টি জানাই এবং উনি বিষয়টি সম্পর্কে ওই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যাটির সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারপরও প্রায় ১ মাস কেটে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি, তখন ছাত্রটি এক প্রকার সমস্ত আশা ছেড়ে দেয়।

🔴 অবশেষে আমরা রাজ্যের একজন দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করি এবং উনার কাছে থেকে প্রত্যুত্তর পাই যে বিষয়টি সম্পর্কে স্কুল ও জেলার দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের থেকে উনি রিপোর্ট চেয়েছেন এবং দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবেন। তারপর প্রায় একমাস অপেক্ষা করি তবুও সমস্যাটি সমাধান হচ্ছিলো না। তখন আমরা আবারও উনাকে একটা রিমাইন্ডার দিই এবং তার ঠিক কিছুদিন পরেই স্কুল থেকে নোটিশ দেওয়া হয় যে ৩১/০৩/২০২২ তারিখ থেকে সাইকেল দেওয়া হবে এবং অবশেষে আমাদের টিমের ও রণজিৎ পালের দীর্ঘ ৯ মাসের যৌথ প্রচেষ্টায় উক্ত তারিখ থেকে ভাবতা নেতাজি হাই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী দের সাইকেল দেওয়া শুরু হয়।

🔴 রণজিৎ পাল বলেন, " বাপ কে বলো পেজ দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আমার সাথে যোগযোগ রাখেন ও সঠিক গাইডেন্স দিয়ে আমাকে সাহস যুগিয়েছেন যার ফলে আমরা প্রায় ৩ বছর পরও আমাদের প্রাপ্য সাইকেল আদায় করতে পারলাম। আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই বাপ কে বলো পেজের সকল সদস্য দের,যাদের সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়া আমরা আমাদের সাইকেল পেতাম না।"

#AssistanceToCommonPeople

#BaapKeBolo

#TalkToGovernment