09 Jun, 2022

শান্তনু দাস,বাঁকুড়া: আমি শান্তনু দাস , বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া-১  ব্লকের বাসিন্দা।

আমার স্ত্রী ও সন্তানের দীর্ঘ ৪ বছর কোনো রেশন কার্ড ছিল না । ছিলনা বললে ভুল হবে, মনে হচ্ছিলো যেন  অফিসাররা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার কার্ডটি করে দেননি।

 

ফুড সাপ্লাই অফিসে অনেকবারই আবেদন ,নিবেদন জানাই কোনো কাজ হয়নি । এমনকি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও দুবার আবেদন জমা করি। কিন্তু কিছু লাভ হয় নি।চার বছরে মোট ১৪ বার বিডিও অফিস গিয়েছি।চারবার কাগজ পত্র জমা নিয়েছে। প্রতিবার ব্লকের স্টাফরা বলেন হয়ে যাবে। হয়ে যাবে। তারপর সেই  গুদাম ঘরে ফাইল ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা আর কি। ভাবছিলাম আর মনে হয় রেশন কার্ডগুলি হবে না। হাপিয়ে উঠলাম এক প্রকার। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।

কিছুদিন পরে ফেসবুকে বাপ কে বলো পেজের কথা মনে পড়ে। "বাপকে বলো(Assistance to Common People)" এর- website এ আমার সমস্যার কথা বলি। ওখান থেকে একজন ভাই  আমাকে গাইড করেন, সেই মতো আমি জেলার ফুড সাপ্লাই অফিসার স্যার এর সাথে কথা বলি কারণ ব্লক যেহেতু চারবছর ধরে করে দেয়নি । তারপর দেখি ব্লক অফিস থেকে ফোন, বললেন আপনার কাজ হয়ে যাবে। ডিটেইলস খুঁজছি পেয়ে গেলেই করে দিচ্ছি। 


ওইদিন ই দেখলাম আমার রেশন কার্ডের স্ট্যাটাস চেঞ্জ হল ভেরিফিকেশন কমপ্লিট। তারপর শনিবার, রবিবার ছুটি পড়ে যায়, তারপর সোমবার দিন জেলা ফুড ইন্সপেক্টর আমাকে জানান আপনার কার্ড হয়ে গেছে, আপনি ডাউনলোড করেনিন।

 

সত্যি আমি অবাক হলাম এই টিমের কাজ দেখে। যে কাজের জন্য চার বছর ধরে ১৪ বার গিয়েও হয় নি, সেটা কয়েক ঘন্টায় সমাধান।

অসংখ্য ধন্যবাদ "বাপ কে বলো" র মেম্বার দের। দারুন সুন্দর কর্মকান্ড। এনাদের নিস্বার্থ সাহায্য পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার পরিবারও খুব খুশি। এতদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা সবাই বঞ্চিত হচ্ছিলাম। এবার "বাপ কে বলো" টিম এর প্রয়াসে আমার দীর্ঘ বছরের বঞ্চনার সমাধান হলো। পরম করুণাময় ঈশ্বরের কাছে এই "বাপ কে বলো" দলের দীর্ঘায়ুকামনা করি।

If you like our work. Please support us by donating.