সুখময় মন্ডল, বীরভূমঃ আমি সুখময় মন্ডল, বীরভূম জেলার বাসিন্দা।দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা ছোট থেকেই করে এসেছি। কিন্তু নিজের বাইক কেনার পর লাইসেন্স করানোর জন্য বিভিন্ন মহুরির কাছে বিভিন্ন খরচ শুনে ঘাবড়ে যায়। তারপর ইউটিউব দেখে গত 08/04/2022 তারিখে অনলাইনে আধারবেসড কেওয়াইসি করে আবেদন করি পরিবহন দফতরের সাইটে এবং 12/04/2022 তারিখে লার্নার টেস্ট দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করি। কিন্তু 15-20দিন অপেক্ষা করার পর দেখি সেটা অ্যাপ্রুভ হচ্ছে না। বিভিন্ন সাইট ঘাঁটতে থাকি ও মেইল করতে থাকি । কিন্তু কোনো সদুত্তর পাইনি ।তখন ভেবেছিলাম আর হয়তো মহুরির সাহায্য ছাড়া আমার লাইসেন্স প্রাপ্তি হবে না। তারপর হঠাৎই একদিন একই সমস্যা সম্বলিত একটি ফেসবুকে ভেসে ওঠে এবং তা সমাধান করে দিয়েছে বলে জানাই 'বাপ কে বলো' পেজ। মনে কিঞ্চিত আশার উদ্রেক হয় কারণ 'বাপ কে বলো' পেজ আমি অনেক আগে থেকেই ফলো আর লাইক করে রেখেছিলাম কিন্তু ভুলেই গেছিলাম তাদের সাহায্যের নমুনার কথা। তারপর যা করার করলাম। পুরো ঘটনা সবিস্তারে লিখে পাঠালাম তাদের নবনির্মিত ওয়েবসাইটে। একটি ট্র্যাকিং আইডিও পেলাম। কিছুদিনের মধ্যেই ফোন এল 'বাপ কে বলো' টিমের একজন যোদ্ধার থেকে আর তিনি সবিস্তারে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন কী করনীয়। তারপর তাদেরই লেখা ফরম্যাটে বীরভূম জেলার ডি এম স্যারকে হোয়াটস্অ্যাপে জানালাম। স্যার ব্যস্ত থাকায় আবার তিনদিন পর রিমাইন্ডার দিলাম। স্যার মেসেজ সিন করার 20 মিনিটের মধ্যেই আমার লাইসেন্স চলে এল যেটা 45 দিন ধরে আটকে ছিল এবং স্যার আমাকে তা জানিয়েও দিলেন তৎক্ষনাৎ । সরকার যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর আপনার সঙ্গী যদি 'বাপ কে বলো' হয় আশা করি আমার মত আপনিও দুর্নীতিমুক্ত দেশের নাগরিক হয়ে উঠবেন খুব শীঘ্রই। ডি এম স্যারকে জানাই প্রণাম, শ্রদ্ধা। আপনার মতো অফিসারের জন্যই আজও সাধারণ মানুষ সবকিছুর উপর বিশ্বাস রাখে। আর 'বাপ কে বলো' টিম যারা কঠিন কাজকে সহজ করে তোলে নিমেষে তাদেরও জানাই কুর্নিশ।