🛑 আমি কোচবিহার জেলার দিনহাটা -২ ব্লকের একজন বাসিন্দা। আমার বাবা গত ৩১/০৩/২০২১ তারিখে পরলোকগমন করেন। তারপর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি উপযুক্ত নথিপত্র সহ সরকারি অনুদান "কৃষক বন্ধু ডেথ বেনিফিট স্কিমে" আবেদন করার জন্য ব্লকে যোগাযোগ করি। কিন্তু উক্ত দফতরের আধিকারিকগণ আমাকে কোনো ভাবেই সরাসরি আবেদনের ফর্মটি আমার হাতে দিচ্ছিলেন না, নানান অজুহাতে আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন,তার সাথে সাথে কিছু দালাল শ্রেণীর মানুষ আমাকে অফিসের বাইরে অনুদানের অর্ধেক টাকার বিনিময়ে কাজটি করে নেওয়ার জন্য বলতে থাকে এবং যদি টাকা দিয়ে না করি তবে অনুদান পাওয়া মুশকিল বলেও জানায়।

🛑 তারপর আমি ফেসবুক মারফত বাপ কে বলো পেজ এর কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারি এবং আমি আমার সমস্যা কথা পেজের ইনবক্সে জানাই। পেজে সমস্যার কথা জানানোর কিছুদিনের মধ্যেই পেজের একজন মেম্বার আমার সাথে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষয়টি শোনেন। তারপর আমাকে  ADA Sir এর মোবাইল নাম্বার দেন ও পরের দিনই আবার ব্লকে যেতে বলেন। যদি ব্লকের আধিকারিকগণ আমায় আবেদন এর ফর্ম টি না দেয় তবে ADA Sir কে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন। দাদার পরামর্শমতো আমি অফিসে গিয়ে কথা বলি এবং অবশেষে আমি দীর্ঘ ২ মাস হয়রানি হওয়ার পর আবেদন এর ফর্মটি হাতে পাই।

🛑 তারপর আমি সমস্ত ডিটেলস ও পেপার্সপত্র সহ আবেদন এর ফর্ম টি ৩১-০৮-২০২১ তারিখে জমা করি । কিন্তু জমা করার পর প্রায় ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও কোনো রকম অগ্রগতি হচ্ছিলনা। ফলে আবারও পেজের মেম্বার কে বিষয়টি জানাই,উনি বিষয়টি নিজে দেখেন এবং উনি আমাদের জেলার একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক কে বিষয়টি জানান। তার কিছুদিন পর আমায় ব্লক থেকে যোগাযোগ করে জানানো হয় যে আমার পেপার্স এর কিছু ভুল রয়েছে এবং সেগুলো আবার পুনরায় জমা করার কথা বলা হয়। আমি উক্ত আধিকারিকের কথা মতো আবার সব কিছু ঠিক করে জমা করি এবং আবারও অপেক্ষা করতে থাকি ও উক্ত আধিকারিক এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। উনি বলেন যে ১ মাস এর মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে কিন্তু ১ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও টাকা পায়নি।

🛑 তখন আবারও আমি পেজের ওই মেম্বারকে বিষয়টি জানাই এবং উনি আমাকে একজন জেলা আধিকারিক এর নাম্বার দেন এবং একটি লেটার লিখে উনাকে দিতে বলেন। ওনার পরামর্শমতো লেটারটি হোয়াটস অ্যাপ মারফত জেলা আধিকারিক কে পাঠাই। তার পরের দিন আমাকে ব্লক থেকে যোগাযোগ করা হয় ও আমি কেনো জেলা আধিকারিক কে বিষয়টি জানিয়েছি সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে এবং আমি তার যথাযথ উত্তর দিই। তখন ব্লক আধিকারিক আমাকে অভিযোগ টি তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন এবং আর একবার পেপার্সপত্র ব্লক অফিসে দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। আমি এই কথাটা পেজের মেম্বার কে জানতে উনি অভিযোগ না তুলে নিয়ে কাজ টি চাপ দিয়ে দ্রুত করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন । আমি কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ তুলবোনা বলে জানাই এবং আবার পেপার্স জমা করি। 

🛑 অবশেষে দীর্ঘ ৮ মাস পর পেজের মেম্বার এর সহযোগিতা ও পরামর্শে এবং জেলা আধিকারিকের সহযোগিতায় আমাদের ৪ ভাই বোন ও মা এর একাউন্টে ১৫/০২/২২ তারিখে যথাক্রমে ৪০ হাজার করে কৃষক বন্ধু ডেথ বেনিফিট স্কিমের অনুদানের ২ লক্ষ টাকা ঢোকে। 

🛑 অত্যন্ত কঠিন সময়ে আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাপ কে বলো পেজের সকল সদস্য কে এবং উক্ত আধিকারিক কে ধন্যবাদ জানাই। আশা রাখছি ভবিষ্যতে বাপ কে বলো পেজ যেন আর ও বড়ো প্লাটফর্ম হয়ে ওঠে আর মুখোশধারি দালাল দের মুখোশ উন্মোচন করতে পারে।
ধন্যবাদ।