🔴 আমি মুর্শিদাবাদ জেলার অধীনস্থ ভগবানগোলা থানার অন্তর্গত বাগডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আমি গত 8 জুলাই বাড়িতে ইলেকট্রিক মিটার বসানোর জন্য উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে লোকাল ইলেকট্রিক অফিসে জমা দিই। এরপর 31 জুলাই মিটার বসানোর জন্য অফিসের একজন স্টাফ আমাদের বাড়িতে আসেন। কিন্তু তিনি মিটারটি বসাতে অস্বীকার করেন। কারণ জমিটি আমার বাবার  এবং সেই জমিতে বাবার নামে পূর্ব থেকেই একটি মিটার বসানো ছিল। তবে বর্তমানে আমি সেই জমিতেই একট পৃথক বাড়ি স্থাপন করে বসবাস করি। এই বাড়িটির একটি অংশ বাবার বাড়িটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। কিন্তু স্টাফটির খোলা বক্তব্য বাড়ি দুটি সম্পূর্ণই পৃথক চাই। নচেৎ মিটার বসানো সম্ভব নয়।

🔴  আমি তাকে জানাই যে পঞ্চায়েতে আমি রীতিমতো পৃথকভাবে বসবাসের শুল্ক পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু তিনি কোনোভাবে মিটার বসাতে উদ্যত হন না। অবশেষে তিনি আমাকে মোটা অঙ্কের খরচের কথা বলেন এবং তাতে রাজী না হলে মিটারটি না বসিয়ে ফিরে যান। 

🔰 এরপর আমি পূর্ব পরিচিত বাপ কে বলো পেজের সান্নিধ্যে আসি। উল্লেখ্য যে এই পেজটির ভূমিকা নিয়ে আমরা গ্রামবাসীরা পূর্ব থেকেই অবগত ছিলাম এবং বেশ  কয়েকটি সমস্যার সমাধানও পেয়েছি। পেজের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে প্রথমে ইলেকট্রিক স্টেশন ম্যানেজারের ফোন নম্বর দিয়ে কোন প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দেন। আমি স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে কোনো কর্ণপাত না করে সমস্যাটি এড়িয়ে যান। 

🔰 পুনরায় আমি 'বাপ কে বলো'র সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে ডিভিশনাল ম্যানেজারের নম্বর দিয়ে যোগাযোগের পদ্ধতি বলে দেন। এরপর আমি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ ও পরে ফোনের মাধ্যমে আমার সমস্যাটি তার কাছে উপস্থাপন করি। আমার অভিযোগ তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শোনোন এবং শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। এর কিছুক্ষণ পরে ইলেকট্রিক অফিস থেকে একজনের ফোন আসে। তিনি আমার সাথে অত্যন্ত নম্রভাবে কথা বলে আমার অভিযোগ শোনেন এবং পরের দিন বাড়ি খতিয়ে দেখতে আসা হবে বলে জানান। 

🔰 পরের দিন অফিস থেকে একজন কর্মী ক্যামেরা নিয়ে আসেন এবং ভিডিওবন্দী করে জানান বিকেল নাগাদ অফিস থেকে জানানো হবে আমি মিটার পাওয়ার যোগ্য কী-না। এইদিন বিকেল নাগাদ আমাকে অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয় পরের দিন আমার বাড়িতে মিটার বসানো হবে। এরপরের দিন 9 আগস্ট আমার বাড়িতে মিটার বসানো হয়।

🔴 আবারও আমরা #বাপকেবলো  এক অসাধারণ ভূমিকার সাক্ষী থাকলাম। তাদের এই নিয়মিত নিঃস্বার্থ ভূমিকার প্রতি আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।